Posts

Markazud Dirasah Al Islamiah Dhaka

Image
  মদিনায় ৪০ বছর ধরে ফ্রিতে খেজুর-কফি বিতরণ করছেন এই বৃদ্ধ দিরাসাহ ডেস্ক : হাসিখুশি উজ্জ্বল মুখ। জন্মস্থান সিরিয়া। কিন্তু গত ৫০ বছর ধরে বাস করছেন সৌদি আরবে। তবে মজার ব্যাপার হলো– এর মধ্যে ৪০ বছরই মদিনায় ফ্রিতে খেজুর, মিষ্টান্ন ও কফি বিতরণে অতিবাহিত করেছেন এই বৃদ্ধ। বুধবার আরবি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মুবাশির জানায়, ওই বৃদ্ধের নাম ইসমাইল আজ-জাইম। বয়স ৯৫ বছর। মদিনায় সমাগত মুসল্লি ও জেয়ারতকারীদের মধ্যে তিনি এগুলো বিতরণ করেন। মসজিদে নববীর অদূরে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে তার বসে থাকা নিত্তকার ঘটনা। সামনে থাকে একটি টেবিল। তাতে সাজানো ওই অঞ্চলের ঐতিহ্যগত পানীয় ‘গাওয়াহ’ বা আরবীয় কফি, মিষ্টান্ন ও খেজুর। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই বৃদ্ধের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে তাকে সবার মধ্যে ফ্রিতে মিষ্টান্ন ও কফি বিতরণ করতে দেখা যায়। পরে অনলাইনে সক্রিয়রা তার বেশ প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে ‘আবু সিবা’ নামে পরিচিত ওই বৃদ্ধ বলেন¬– ‘আমি বিগত ৪০ বছর ধরে যা বিতরণ করেছি, তার পুরোটাই ছিল ফ্রিতে। আর এটি আমি করেছি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এজন্য কারো থেকে কখনো কোনো বিনিময় গ্রহণ করিনি।’ সূত্র : আলজাজির...
Image
  বিশ্ব হিজাব দিবস আজ দিরাসাহ ডেস্ক : হিজাব অধিকাংশ নারীর পছন্দের পোশাক। মুসলিম নারীদের এ পোশাক পরার ব্যাপারে ইসলামে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হিজাব পরা নিয়ে বাধা-বিপত্তির অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক নারীর। তাই হিজাবভীতির বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে ও হিজাবের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করতে প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব হিজাব দিবস। এই বছর দিবসটির ১১তম বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিশ্ব হিজাব দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা নাজমা খান। তিনি ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কসে বসবাস করছেন। এখানে আসার পর থেকেই হিজাব পরা শুরু করেন তিনি। কিন্তু হিজাব পরার পর থেকে নানা ধরনের অসহিষ্ণু আচরণের মুখোমুখি হন তিনি। তখন থেকে সব ধর্মের নারীরা হিজাব পরে হিজাবের প্রতি সংহতি জানাতে অংশ নেন। দ্য ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে (ডাব্লিওএইচডি)-এর উদ্যোগে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এবার দিবসটি ১৫০টির বেশি দেশে পালিত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ‘প্রগতি, নিপীড়ন নয়’ প্রতিপাদ্য ধারণ ক...
পরকীয়া প্রতিরোধে ইসলামী অনুশাসন দিরাসাহ ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী পরকীয়া পারিবারিক অশান্তির কারণ। এর জের ধরে ভেঙে পড়ছে পরিবার কাঠামা। ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও স্বপ্ন-সাধ। কখনো কখনো খুনখারাবির মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটছে পরকীয়ার কারণে। পরকীয়া সম্পর্ক ভুক্তভোগীর মনে ক্রোধ, অশান্তি, দুঃখ, অবিশ্বাস ও অশেষ মনোযন্ত্রণার সৃষ্টি করে। পরকীয়ার প্রধান কারণ আল্লাহর আইনবহির্ভূত জীবনযাপন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জীবনযাত্রা সংকীর্ণ ও দুঃখে ভরপুর হয়ে ওঠে...।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১২৪) পরকীয়া মানুষকে ব্যভিচারের দিকে টেনে নেয়। অথচ এটি ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল/ইসরা, আয়াত : ৩২) নিম্নে পরকীয় প্রতিরোধে ইসলামী অনুশাসন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো— আল্লাহর ভয় : বিবাহের খুতবায় পবিত্র কোরআনের তিনটি আয়াত পাঠ করতে হয়, যা যথাক্রমে সুরা নিসা, আয়াত : ১, সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১০২ এবং সুরা আহজাব, আয়াত : ৭০-৭১। (সূত্র : সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২১১৮) এই তিন আয়াতের মূল...
Image
  বাংলাদেশি মুসলমানদের নাম রাখার সংস্কৃতি দিরাসাহ ডেস্ক : বাংলাদেশের মানুষের নাম রাখার ক্ষেত্রে আছে নিজস্ব সংস্কৃতি। বাঙালিত্ব ও মুসলমানিত্বের সমন্বয়ে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে মিশ্র সংস্কৃতি। বেশির ভাগ মুসলমান হওয়ায় এ দেশের অনেকে তাঁর সন্তানের নাম আরবি ভাষায় রাখে। যদিও এ বিষয়ে ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নেই। তার পরও আরবি নাম রাখার কারণ হলো, আরবি ভাষায় নাম রাখা হলে মুসলমানদের ভাষাকেন্দ্রিক ঐক্য গড়ে ওঠে এবং মুসলিম হিসেবে পরিচয় সহজভাবে প্রকাশ করা যায়। এ ক্ষেত্রে অনেকে বাঙালিত্ব ও মুসলমানিত্বের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য মাতৃভাষায় ডাকনাম ব্যবহার করে থাকে। যেমন—প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার নাম। তাঁর নামে তফাজ্জল হোসেন আরবি নাম হলেও বাঙালিত্বের পরিচয় হিসেবে ‘মানিক’ নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বাঙালি মুসলমানের নামের সঙ্গে ডাকনাম রাখার প্রবণতা দেশপ্রেম থেকে উদ্গত। তাই আরবি ভাষায় নাম রাখা হলেও বাঙালি মুসলমানের নাম আরব দেশগুলোর নাম রাখার সংস্কৃতির সঙ্গে মিল নেই। আরব দেশগুলোতে একটি মাত্র নাম রাখার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। তবে তাদের নামের সঙ্গে পিতার নাম যুক্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিসর, তু...
Image
  যুগ যুগ ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রস্তুত হয় ইজতেমার মাঠ দিরাসাহ ডেস্ক : তাবলিগ জামাতের বৈশ্বিক সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ টঙ্গীর তুরাগতীরের বিশ্ব ইজতেমা। শুধু এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। দেশ ও বিদেশের লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটে টঙ্গীর তুরাগ পারে। তাই স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তুরাগ পারের ১৬০ একর জমি তাবলিগ জামাতের জন্য বরাদ্দ দেয়। পরবর্তী সময়ে জনসমাগমের কথা মাথায় রেখে ইজতেমার পরিধি আরো বাড়ানো হয়। এই বিশাল এলাকাকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত করতে ইজতেমা শুরুর তিন-চার মাস আগ থেকে কাজ শুরু করতে হয়। যুগ যুগ ধরে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সমাধা হচ্ছে মুসল্লিদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে। বাংলাদেশের আনাচকানাচে থেকে তাবলিগের সাথিরা ইজতেমায় স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার জন্য চলে আসেন। সেখানে থাকা দায়িত্বশীলরা তাঁদের যে দায়িত্ব ভাগ দেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে সেই কাজই করেন। কারণ সামর্থ্য অনুযায়ী দ্বিনের সমষ্টিগত কাজে অংশগ্রহণ করা অফুরন্ত ফজিলতের কাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন শুধু তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ঈমান আনে এব...
Image
  কানায় কানায় পূর্ণ ইজতেমা ময়দান, অংশ নিয়েছেন মারকাযের ছাত্র-শিক্ষকরাও দিরাসাহ ডেস্ক : টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামীকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। কিন্তু তার একদিন আগে আজ বৃহস্পতিবার মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে ইজতেমা মাঠ। ইজতেমার সব ধরনের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ১৬০ একরের বিশাল ময়দানে টানানো হয়েছে সামিয়ানা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে মাঠে নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা। ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ময়দানের চারপাশে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। এদিকে ইজতেমাকে সামনে রেখে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সকল ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ময়দানে পানি সংকট নিরসনে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন, বাস, ফায়ার সার্ভিস, ট্রাফিক পুলিশ, বিদ্যুৎ, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতা...